শিষ্টাচার বা আদব-কায়দা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি এখন পুরনো ঢঙ্গের কায়দা কানুন মনে হলেও বর্তমানেও এর গুরুত্ব কম নয়, বরং অনেকাংশেই বেশি। আপনি যদি মনে করেন এই আধুনিক যুগে এসে শিষ্টাচার এর দরকার নেই, তাহলে জেনে রাখুন; আপনি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছেন। আপনি যখন বড় একটি কম্পানিতে কাজ করছেন, যেখানে অনেক মানুষ একসাথে কাজ করে অথবা আপনাকে ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং এর মত কাজ করতে হয়; তখন আপনি অবশ্যই তাদের সামনে অভদ্র বা এমন আচরণ করতে পারেন না যাতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হন।
আজ আমরা কিছু অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক শিষ্টাচার নিয়ে আলাপ করব।
১. পুরো নাম বলুনঃ প্রথম সাক্ষাতের সময় আপনার সম্পূর্ণ নাম বলুন। ডাকনাম বা নামের একাংশ বলবেন না। কনফারেন্স রুম বা বোর্ড মিটিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবশ্যই নিজের পুরো নাম বলবেন। আপনি হয়ত ভাবছেন, যারা আপনার নাম জানেন তাদের সামনে নাম বা সম্পূর্ণ নাম বলার কি দরকার? এটা এক ধরনের শিষ্টাচার। এর মাধ্যমে আপনি কতটা গোছানো এবং সচেতন তার প্রমাণ পাওয়া যায়। আর প্রথম দেখায় শুধুমাত্র নামের একাংশ বললে; যাকে বলবেন তার আপনার নাম মনে রাখতে কষ্ট হবে। এক্ষেত্রে বিসনেস কার্ড দিয়ে রাখতে পারেন (যদি থাকে)।
২. পা সোজা রাখুনঃ সাক্ষাতের সময় পা সোজা রেখে দাঁড়ান। দুই পা ক্রস করে দাঁড়ানো অসভ্যতা। তার চেয়েও বড় কথা, এটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে।
৩. অতি বিনয়ী হবেন নাঃ অতি বিনয়ী হয়ে বারবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন না। বিনয়ী হওয়া উচিৎ, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখবেন, আপনি যখন কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হন বা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন তখনই কিন্তু বারবার 'ধন্যবাদ' দিতে থাকেন। এটা খারাপ লক্ষণ।
৪. অফিস ডেস্কে খাবার খাবেন নাঃ খাওয়ার জন্য সময় এবং স্থান আলাদা করে রাখুন। অসময়ে এবং কাজের স্থানে খাওয়া দাওয়া করলে আপনার সহকারীরা বিরক্ত হতে পারে। তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আর তাছাড়া কাজ করতে করতে খাওয়া তেমন স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
৫. বিল পরিশোধ করুনঃ আপনি যখন কোন ব্যবসায়িক বা কাজের জন্য কোন ক্লায়েন্ট কে লাঞ্চ বা ডিনারে ডাকবেন, অবশ্যই আপনি তার বিল পরিশোধ করবেন।
৬. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুনঃ জরুরী মিটিং এ আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুলো গুছিয়ে রাখুন। যেমন আপনার মোবাইল ফোন,রুমাল ইত্যাদি টেবিলের উপর রাখবেন না। এমনকি আপনি যখন অফিশিয়াল লাঞ্চ বা ডিনারে থাকবেন, তখনও না।
৭. অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুনঃ মিটিং এ প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত প্রশ্ন করবেন না। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করুন, কম বা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়িয়ে যান। অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন আপনাকে বিরক্তিকর করে তুলতে পারে এবং অন্যরা আপনার প্রতি নেতিবাচক মনভাব পোষণ করবে।
৮. হুটহাট অন্যের কর্মক্ষেত্রে ঢুকবেন নাঃ হুটহাট অনুমতি বা আপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কারো অফিসে যাবেন না। সে ব্যস্ত থাকতে পারে। হয়ত মুখে কিছু বলবে না বা আপনাকে খুব খাতির করবে ভদ্রতার খাতিরে। কিন্তু মনে রাখবেন এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন; সে আপনার উপর প্রবলভাবে বিরক্ত হয়েছে।
৯. যোগাযোগ রক্ষা করুনঃ ব্যবসায়িক পার্টনার বা অফিস কলিগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখুন। হটাৎ করে কারো সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া অভদ্রতা।
সঠিক ব্যবসায়িক শিষ্টাচার আপনার ব্যবসায়িক জীবনকে পৌঁছে দিতে পারে উন্নতির চরম শিখরে।
আজ আমরা কিছু অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক শিষ্টাচার নিয়ে আলাপ করব।
১. পুরো নাম বলুনঃ প্রথম সাক্ষাতের সময় আপনার সম্পূর্ণ নাম বলুন। ডাকনাম বা নামের একাংশ বলবেন না। কনফারেন্স রুম বা বোর্ড মিটিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবশ্যই নিজের পুরো নাম বলবেন। আপনি হয়ত ভাবছেন, যারা আপনার নাম জানেন তাদের সামনে নাম বা সম্পূর্ণ নাম বলার কি দরকার? এটা এক ধরনের শিষ্টাচার। এর মাধ্যমে আপনি কতটা গোছানো এবং সচেতন তার প্রমাণ পাওয়া যায়। আর প্রথম দেখায় শুধুমাত্র নামের একাংশ বললে; যাকে বলবেন তার আপনার নাম মনে রাখতে কষ্ট হবে। এক্ষেত্রে বিসনেস কার্ড দিয়ে রাখতে পারেন (যদি থাকে)।২. পা সোজা রাখুনঃ সাক্ষাতের সময় পা সোজা রেখে দাঁড়ান। দুই পা ক্রস করে দাঁড়ানো অসভ্যতা। তার চেয়েও বড় কথা, এটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে।
৩. অতি বিনয়ী হবেন নাঃ অতি বিনয়ী হয়ে বারবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন না। বিনয়ী হওয়া উচিৎ, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখবেন, আপনি যখন কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হন বা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন তখনই কিন্তু বারবার 'ধন্যবাদ' দিতে থাকেন। এটা খারাপ লক্ষণ।
৪. অফিস ডেস্কে খাবার খাবেন নাঃ খাওয়ার জন্য সময় এবং স্থান আলাদা করে রাখুন। অসময়ে এবং কাজের স্থানে খাওয়া দাওয়া করলে আপনার সহকারীরা বিরক্ত হতে পারে। তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আর তাছাড়া কাজ করতে করতে খাওয়া তেমন স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
৫. বিল পরিশোধ করুনঃ আপনি যখন কোন ব্যবসায়িক বা কাজের জন্য কোন ক্লায়েন্ট কে লাঞ্চ বা ডিনারে ডাকবেন, অবশ্যই আপনি তার বিল পরিশোধ করবেন।
৬. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুনঃ জরুরী মিটিং এ আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুলো গুছিয়ে রাখুন। যেমন আপনার মোবাইল ফোন,রুমাল ইত্যাদি টেবিলের উপর রাখবেন না। এমনকি আপনি যখন অফিশিয়াল লাঞ্চ বা ডিনারে থাকবেন, তখনও না।
৭. অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুনঃ মিটিং এ প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত প্রশ্ন করবেন না। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করুন, কম বা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়িয়ে যান। অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন আপনাকে বিরক্তিকর করে তুলতে পারে এবং অন্যরা আপনার প্রতি নেতিবাচক মনভাব পোষণ করবে।
৮. হুটহাট অন্যের কর্মক্ষেত্রে ঢুকবেন নাঃ হুটহাট অনুমতি বা আপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কারো অফিসে যাবেন না। সে ব্যস্ত থাকতে পারে। হয়ত মুখে কিছু বলবে না বা আপনাকে খুব খাতির করবে ভদ্রতার খাতিরে। কিন্তু মনে রাখবেন এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন; সে আপনার উপর প্রবলভাবে বিরক্ত হয়েছে।
৯. যোগাযোগ রক্ষা করুনঃ ব্যবসায়িক পার্টনার বা অফিস কলিগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখুন। হটাৎ করে কারো সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া অভদ্রতা।
সঠিক ব্যবসায়িক শিষ্টাচার আপনার ব্যবসায়িক জীবনকে পৌঁছে দিতে পারে উন্নতির চরম শিখরে।



No comments:
Post a Comment