আপনি কি অনলাইন মার্কেটিং করেন ? মার্কেটিং এ তেমন সুবিধা করতে পারছেন না ?
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করেছেন গবেষণা, অনুসন্ধান করে কিভাবে মার্কেটিং এ সফল হওয়া যায়। কিভাবে ক্রেতা আকৃষ্ট করা যায় এবং বিক্রি বাড়ানো যায় এটাই একজন মার্কেটিং ম্যানেজারের দায়িত্ব এবং চিন্তার বিষয়।
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং এর পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় এবং বলাই বাহুল্য যে এটি বর্তমান বাজারে সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষদের মধ্যে অন্তত ৭১ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবং পৃথিবীর ৮০ শতাংশ কোম্পানি মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। তাহলে আপনি নন কেন ?
১. চিত্রায়নঃ আকর্ষণীয় চিত্রের উপস্থাপন আপনার পন্যের সঠিক ধারণা দিতে পারে। চিত্র যুক্ত পোস্টগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি কার্যকরী হয়, এগুলোর এংগেজমেন্ট বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে ছবি ব্যবহার করছেন তা যেন বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। কপিরাইট সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আর, নিজের পন্যের ক্ষেত্রে তার আসল ছবি ব্যবহার করাই শ্রেয়।
২. হেডলাইনঃ আকর্ষণীয় হেডলাইন ব্যবহার করুন, যা পড়ে পাঠকের মনে উৎসাহ জাগে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানার। সাধারণ হেডলাইন বা ট্যাগলাইন ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন। একই জিনিস বারবার পোস্ট করার ক্ষেত্রে একই হেডলাইন ব্যবহার না করে প্রতিবার ভিন্নতা বজায় রাখুন।
৩. সঠিক সময় নির্বাচনঃ আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশি বেশি মানুষের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছানো। তাই কোন সময়ে পোস্ট করবেন সেটা বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেই মিডিয়া ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেটাতে কোন
সময় আপনার টার্গেট কাস্টমার সবচেয়ে বেশি থাকে সেটা নির্ণয় করুন এবং চেষ্টা করুন সেই সময়ের মদ্ধেই পোস্ট করতে। মনে করুন আপনার টার্গেট কাস্টমার শুক্র, শনি ও রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। এখন আপনি যদি মঙ্গল, বুধবারে দুপুর ২ টায় পোস্ট করেন তাহলে কিন্তু টার্গেট কাস্টমারের কাছে ঠিকমত পৌঁছাতে পারবেন না।
৪. প্ল্যাটফর্মের সুবিধা কাজে লাগানঃ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনার কন্টেন্ট গুলোকে প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা ভাবে তৈরি করুন। উদাহরন্সরুপঃ ফেসবুকে আপনি হেডলাইন ব্যবহার করতে পারবেন, ইচ্ছা মত বর্ণনা দিতে পারবেন, ছবি দিতে পারবেন; কিন্তু টুইটারের ক্ষেত্রে আপনি বর্ণনা দীর্ঘায়ীত করতে পারবেন না। ১৪০ শব্দের মধ্যে আপনার পন্যের সঠিক ধারণা তুলে ধরতে হবে।
৫. বারবার পোস্ট করুনঃ অনেকে মনে করেন একই জিনিস বারবার পোস্ট করলে মানুষ বিরক্ত হয়। এটা ভুল ধারণা।
আপনার পণ্য বা সেবা যদি সত্যিই ভাল হয় তবে মানুষ তা বারবার দেখতে পছন্দ করবে। এছাড়া এটি আপনাকে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
৬. প্রশ্ন করুনঃ আপনার অনুসারী, শ্রোতা বা কাস্টমারদের প্রশ্ন করুন। আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস তাদের কেমন লাগে, তারা কি চায়, তাদের অসুবিধা, মতামত ইত্যাদি জানতে চান। তাদের ফিডব্যাক নিন। এগুলো আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলবে।
৭. প্রতিযোগীর প্রতি লক্ষ্য রাখুনঃ একই রকম ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখুন। তাদের ক্ষতি করার কথা বলছি না। তারা কিভাবে আগাচ্ছে, তা লক্ষ্য রাখুন। আপনার থেকে তারা কোন দিকে ভাল তা নির্ণয় করুন। তাদের দুর্বলতার দিকগুলোও খুঁজে বের করুন। তারপর তাদের সেই দুর্বল দিকগুলো আপনার নিজের থাকলে কাটিয়ে উঠুন এবং নিজের ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধিতে কাজে লাগান।
৮. সক্রিয় থাকুনঃ দৈনিক কিছু সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখুন। নিয়মিত পোস্ট করুন। ফ্যান, ফলোয়ারদের প্রশ্নের উত্তর দিন, নতুন পণ্য বা সেবার বর্ণনা বা ছবি দিন, তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন।
৯. বিনিময়ঃ অন্যান্য যেসকল বিষয় আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেরকম বিষয় সম্পরকে তাদের কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন। আপনি যখন কাউকে হাইলাইট করবেন, তখন সেও কিন্তু আপনাকে হাইলাইট করবে।
আশা করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়াতে এই পোস্ট আপনাদের সাহায্য করবে। যেকোনো প্রশ্ন, পরামর্শ বা মতামতের জন্য কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করেছেন গবেষণা, অনুসন্ধান করে কিভাবে মার্কেটিং এ সফল হওয়া যায়। কিভাবে ক্রেতা আকৃষ্ট করা যায় এবং বিক্রি বাড়ানো যায় এটাই একজন মার্কেটিং ম্যানেজারের দায়িত্ব এবং চিন্তার বিষয়।
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং এর পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় এবং বলাই বাহুল্য যে এটি বর্তমান বাজারে সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষদের মধ্যে অন্তত ৭১ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবং পৃথিবীর ৮০ শতাংশ কোম্পানি মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। তাহলে আপনি নন কেন ?
আজ আমরা জানবো কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইন মার্কেটিংএ সফলতা লাভ করা যায়।
১. চিত্রায়নঃ আকর্ষণীয় চিত্রের উপস্থাপন আপনার পন্যের সঠিক ধারণা দিতে পারে। চিত্র যুক্ত পোস্টগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি কার্যকরী হয়, এগুলোর এংগেজমেন্ট বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে ছবি ব্যবহার করছেন তা যেন বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। কপিরাইট সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আর, নিজের পন্যের ক্ষেত্রে তার আসল ছবি ব্যবহার করাই শ্রেয়।
২. হেডলাইনঃ আকর্ষণীয় হেডলাইন ব্যবহার করুন, যা পড়ে পাঠকের মনে উৎসাহ জাগে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানার। সাধারণ হেডলাইন বা ট্যাগলাইন ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন। একই জিনিস বারবার পোস্ট করার ক্ষেত্রে একই হেডলাইন ব্যবহার না করে প্রতিবার ভিন্নতা বজায় রাখুন।
৩. সঠিক সময় নির্বাচনঃ আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশি বেশি মানুষের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছানো। তাই কোন সময়ে পোস্ট করবেন সেটা বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেই মিডিয়া ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেটাতে কোন
সময় আপনার টার্গেট কাস্টমার সবচেয়ে বেশি থাকে সেটা নির্ণয় করুন এবং চেষ্টা করুন সেই সময়ের মদ্ধেই পোস্ট করতে। মনে করুন আপনার টার্গেট কাস্টমার শুক্র, শনি ও রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। এখন আপনি যদি মঙ্গল, বুধবারে দুপুর ২ টায় পোস্ট করেন তাহলে কিন্তু টার্গেট কাস্টমারের কাছে ঠিকমত পৌঁছাতে পারবেন না।
৪. প্ল্যাটফর্মের সুবিধা কাজে লাগানঃ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনার কন্টেন্ট গুলোকে প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা ভাবে তৈরি করুন। উদাহরন্সরুপঃ ফেসবুকে আপনি হেডলাইন ব্যবহার করতে পারবেন, ইচ্ছা মত বর্ণনা দিতে পারবেন, ছবি দিতে পারবেন; কিন্তু টুইটারের ক্ষেত্রে আপনি বর্ণনা দীর্ঘায়ীত করতে পারবেন না। ১৪০ শব্দের মধ্যে আপনার পন্যের সঠিক ধারণা তুলে ধরতে হবে।
৬. প্রশ্ন করুনঃ আপনার অনুসারী, শ্রোতা বা কাস্টমারদের প্রশ্ন করুন। আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস তাদের কেমন লাগে, তারা কি চায়, তাদের অসুবিধা, মতামত ইত্যাদি জানতে চান। তাদের ফিডব্যাক নিন। এগুলো আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলবে।
৭. প্রতিযোগীর প্রতি লক্ষ্য রাখুনঃ একই রকম ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখুন। তাদের ক্ষতি করার কথা বলছি না। তারা কিভাবে আগাচ্ছে, তা লক্ষ্য রাখুন। আপনার থেকে তারা কোন দিকে ভাল তা নির্ণয় করুন। তাদের দুর্বলতার দিকগুলোও খুঁজে বের করুন। তারপর তাদের সেই দুর্বল দিকগুলো আপনার নিজের থাকলে কাটিয়ে উঠুন এবং নিজের ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধিতে কাজে লাগান।
৮. সক্রিয় থাকুনঃ দৈনিক কিছু সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখুন। নিয়মিত পোস্ট করুন। ফ্যান, ফলোয়ারদের প্রশ্নের উত্তর দিন, নতুন পণ্য বা সেবার বর্ণনা বা ছবি দিন, তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন।
৯. বিনিময়ঃ অন্যান্য যেসকল বিষয় আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেরকম বিষয় সম্পরকে তাদের কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন। আপনি যখন কাউকে হাইলাইট করবেন, তখন সেও কিন্তু আপনাকে হাইলাইট করবে।
আশা করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়াতে এই পোস্ট আপনাদের সাহায্য করবে। যেকোনো প্রশ্ন, পরামর্শ বা মতামতের জন্য কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।



No comments:
Post a Comment